অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে তার দেশের সামরিক অভিযান ‘দীর্ঘকাল’ ধরে চলতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, অভিযানের সবগুলো লক্ষ্য অর্জন সময়সাপেক্ষ ব্যাপার তবে এরইমধ্যে কয়েকটি বড় ধরনের লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে।
তিনি গতকাল (বুধবার) রাশিয়ার কাউন্সিল ফর সিভিল সোসাইটি এন্ড হিউম্যান রাইটসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ মন্তব্য করেন। বৈঠকটি টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত হয়। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়া যে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করে তা আর কতদিন চলবে- বৈঠকে এমন প্রসঙ্গ উত্থাপিত হলে প্রেসিডেন্ট পুতিন একথা জানান।
তিনি বলেন, “অবশ্যই এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া হতে পারে।” তিনি বলেন, দোনবাস অঞ্চলের দুই প্রজাতন্ত্র দোনেস্ক ও লুগানস্কের অধিবাসীদের রক্ষা করার জন্য মস্কোর সামনে হস্তক্ষেপ করা ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প ছিল না।
ওই দুই প্রজাতন্ত্রের রুশ ফেডারেশনে অন্তর্ভুক্তির প্রতি ইঙ্গিত করে পুতিন বলেন, “এসব নতুন ভূখণ্ড রাশিয়ার জন্য বড় ধরনের অর্জন।” তিনি বলেন, “এমনকি [সাবেক রুশ শাসক] পিটার দ্যা গ্রেটও আজভ সাগর দখলের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। আর আজ এটি রুশ ফেডারেশনের একটি অভ্যন্তরীণ সাগর।”
রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, “সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, যারা সেখানে বসবাস করেন তারা এক গণভোটের মাধ্যমে রাশিয়ায় অন্তর্ভুক্ত হতে চেয়েছেন এবং আমাদের অংশ হতে পেরে তারা আনন্দিত।” তিনি বলেন, “তাদের সংখ্যা কয়েক মিলিয়ন এবং এটি হচ্ছে চলমান অভিযানের সবচেয়ে বড় অর্জন।”
বৈঠকে প্রেসিডেন্ট পুতিন ‘একটি পরমাণু যুদ্ধের’ আশঙ্কার কথাও নাকচ করে দেননি। তবে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন যে, রাশিয়া ‘পাগল হয়ে যায়নি’ এবং দেশটি সম্পূর্ণ আত্মরক্ষার জন্যই নিজের পরমাণু অস্ত্র প্রস্তুত রেখেছে।তবে তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কা দিন দিন বাড়ছে এবং রাশিয়া প্রয়োজনে নিজের পাশাপাশি তার মিত্রদেরকে ‘সম্ভাব্য সব উপায়’ অবলম্বন করে রক্ষা করবে। পুতিন বলেন, রাশিয়া নয় বরং আমেরিকাই বিশ্বের অন্যান্য দেশে পরমাণু অস্ত্র মোতায়েন করেছে।
রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, “পশ্চিমা মানবাধিকার সংস্থাগুলো রাশিয়াকে ‘একটি দ্বিতীয়-শ্রেণির’ দেশ মনে করে যার পৃথিবীতে টিকে থাকার কোনো অধিকার নেই।আমরা আজ যা করছি তার মূলে রয়েছে তাদের এই মনোভাব থেকে বেঁচে থাকার বাসনা। তাদের প্রতি আমাদের একটিই জবাব; আমরা আমাদের জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করার জন্য অনবরত সংগ্রাম করে যাব।”
Leave a Reply